সিলেটে চুরি হওয়া ২৫০ ভরি সোনা উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সিলেট জেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট’–এর ব্যানারের এসব কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতা ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। এক সপ্তাহের মধ্যে এসব পদক্ষেপ না নেওয়া হলে দোকানপাট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য নীহার কুমারের সঞ্চালনায় ও বাজুস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমান সওদাগরের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, বাজুস সিলেটের সহসভাপতি আবদুল কাদির মল্লিক প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সোনা চুরির তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে আটক কিংবা চুরির সোনা উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করলেও এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছেন জানালেও গ্রেপ্তার ও উদ্ধার না হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। ব্যবসায়ীদের দেওয়া ট্যাক্স ও ভ্যাটের টাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়ান। অথচ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও জানমালের রক্ষায় তাঁরা কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, ৯ জানুয়ারি সিলেটের আল হামরা বিপণিবিতানের চতুর্থ তলার নূরানী জুয়েলার্সের তালা ভেঙে সোনা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাঁদের ২৫০ ভরি সোনা খোয়া গেছে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। পরে এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী মামলা করেন।