আজ বুধবার | ১৬ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ পরিচালক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে যাচ্ছেন

সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ পরিচালক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে যাচ্ছেন

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক শব্দ দূষণের নামে সিলেট বিভাগের সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে যাচ্ছেন। প্রায় ১৭ বছর ধরে পরিবেশ-জনবান্ধব, জনকল্যাণমূলক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি আমরা সিলেট বিভাগের সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন ব্যবসায়ীরা। ছাত্র-জনতার বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর নতুন করে আবার বৈষ্যমের স্বীকার হচ্ছেন সিলেট বিভাগের ব্যবসায়ীরা। শব্দ দুষণ-পরিবেশের নামে ব্যবসায়ীদের গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন, জরিমানা করে যাচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক। আমরা সিলেট বিদ্বেষী, বৈষ্যমূলক আচরণকারী পরিচালকের অপসারণ চাই। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন সিলেট বিভাগের সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের ব্যবসায়ীরা। প্রতারক-দুর্নীতিবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার দুপুরে সিলেটের উপশহরস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগ আয়োজিত জরুরি মতবিনিময় বক্তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ও সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় জরুরি মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- এসোসিয়েশন সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজুওয়ান আহমদ, সাংগঠিনক সম্পাদক আলী আফছার মো. ফাহিম, অর্থ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত ধার বাপ্পি, সিনিয়র সদস্য প্রফেসর সিরাজুল হক, ইফতেখার আহমেদ, স্যার জন রাসু, মো. নাফিস জুবায়ের চৌধুরী, আনহার উদ্দিন, আকবর হোসেন আলি, সাব্বির আহমদ, আখতারুল ইসলাম, লোকমান আহমদ মাছুম, সাইমুল আলম সেতু, আব্দুস সহিদ মিয়া, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, গত ২০১৮ সালে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে লোড বৃদ্ধি করেছে, যার ভিত্তিতে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নিয়ে আবেদন করতে বললে নির্ধারিত ফি দাখিল করি আমরা। কিন্তু সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন স্থাপনের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের কোন লোড বাড়ানো হয় নাই। অনুমোদনের সময় চালনা ধার্য ১২ ঘন্টা ধরে হিসাব করা হয়। তাই মাসিক লোড ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আামাদের প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানী কর্তৃক দৈনিক ১২ ঘন্টা হিসেবে মাসিক ২৬ দিনের লোড গণনাপূর্বক ২০ শতাংশ অবচয় বাদ দিয়ে অনুমোদিত লোড গণনা করা হয়েছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত গ্যাজেট এবং নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি সিএনজি ষ্টেশন দৈনিক ১৯-২০ঘন্টা করে পুরো মাস চালু রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দৈনিক ১২ ঘন্টা হিসেবে মাসিক ২৬ দিনের লোড গণনার প্রক্রিয়া অযৌক্তিক, দেশের ক্রম-বর্ধমান যানবাহন বৃদ্ধির আলোকে জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন সিএনজি ষ্টেশনে ধার্য করা ১২ ঘন্টার পরিবর্তে ২০ ঘন্টা এবং মাসিক ২৬ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন করার আহবান জানান ব্যবসায়ীরা। দেশের অন্যান্য কোম্পানীতে লোড বৃদ্ধি করা হয়েছে অথচ সিলেট বিভাগের ব্যবসায়ীরা বৈষ্যমের স্বীকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শব্দ দূষণ করলে তো আমরা জরিমানা করবো। যারা শব্দ দূষণের কাজ করতেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করছি। আর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা তো আমাদের কাজ না। হুদাই আমাদের দোষারোপ করলে তো হবে না।

Facebook
WhatsApp
Print

আরো পড়ুন